IELTS (আইইএলটিএস): স্বপ্ন, দুঃস্বপ্ন ও সঠিক প্রস্তুতি পদ্ধতি

বর্তমান সময়ে দেশের বাইরে পড়তে যাওয়া এবং সে উদ্দেশ্যে আইইএলটিএস (IELTS) দেয়ার প্রবণতা দেশের শহর-গ্রাম সর্বত্র দৃশ্যমান।

চাহিদার সাথে সাথে আক্ষরিক অর্থেই হাজার হাজার ছোট-বড় ইংরেজি শেখাবার প্রতিষ্ঠানের জন্ম হয়েছে যারা আইইএলটিএস প্রিপারেশন কোর্সও অফার করেন।

তিন-চার মাস কোর্স করে ও দু’-চারটা মক টেস্ট দিয়ে যখন কেউ এক বুক আশা নিয়ে বড় অংকের পরীক্ষার ফী চুকিয়ে আশানুরূপ স্কোর না পান, তখন বাহিরে পড়তে যাওয়ার স্বপ্ন জীবনের একটা দুঃস্বপ্ন হয়ে থেকে যায়। আর্থিক কারণে কিংবা মোটিভেশন হারিয়ে অনেকের জন্যই দ্বিতীয়বার আর পরীক্ষায় বসা সম্ভব হয় না। 

এ থেকে বাঁচার উপায় কী?

উপায় আছে। আসুন জেনে নেই।

কেন কোর্স করবো, কেন কোর্স করবো না

ইংরেজি ভাষার দক্ষতা যাচাইয়ের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত পদ্ধতি হচ্ছে ইন্টারন্যাশনাল ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ টেস্টিং সিস্টেম। সংক্ষেপে আইইএলটিএস।

শত শত মানুষকে দেখেছি তারা আইইএলটিএস প্রিপারেশন কোর্সকে ইংরেজি শেখার কোর্স মনে করেন!

একটি বিশেষ পরীক্ষার প্রস্তুতি কোর্সকে ভাষা দক্ষতা অর্জনের কোর্স মনে করার পেছনে যৌক্তিকতা খুঁজে পাই না।

অনেক বছর আগে আমি যখন আইইএলটিএস প্রিপারেশন কোর্স (IELTS Preparation Course) করেছিলাম তখন আমাদের ব্যাচে ২৯ জন শিক্ষার্থী ছিল। তাদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৫/৬ জন ছিলেন যারা আইইএলটিএস পরীক্ষায় ৫.৫-৭.৫ পাবেন। বাকিদের অবস্থা এতটাই নাজুক ছিল যে অনেকে ইংরেজি দেখে দেখে পড়তে পারতেন না।

আমার পাশের চেয়ারে বসা একজন একদিন আমাকে “budget” দিখিয়ে জিজ্ঞেস করেছিলেন “বাডগেট” মানে কী! ওদিন বাজেট রিলেটিড একটা রাইটিং টাস্ক প্রাকটিস চলছিল। পরের দিন থেকে তিনি আর ক্লাসে আসেন নি। ৬০%-৭০% মানুষ পাঁচ-সাতটা ক্লাস করার পর আর আসেন নি। প্রতিষ্ঠান থেকে ফোন করার পরও আসেন নি। শিক্ষদের সাথে কথা বলে জেনেছি প্রতিটা ব্যাচের অবস্থাই এমন।

যতদূর খবর নিয়েছি এখনকার এবস্থাও এমনই।

কেন? 

এই শোচনীয় অবস্থার উন্নতি হচ্ছে না কেন?

আইইএলটিএস প্রিপারেশন কোর্সে যে ইংরেজি শেখানো হয় না, কেবল পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে এবং পরীক্ষার বিভিন্ন পদ্ধতি ও কৌশল শিখতে সহযোগিতা করা হয়— তা না বলা ও না জানাই একমাত্র কারণ

স্বাভাবিকভাবেই যদি আপনার গ্রামার ও ভোকাবলারির ভিত্তি ভালো না থাকে, আইইএলটিএস প্রিপারেশন কোর্সে কিছু পাস্ট পেপারস সলভ করে এবং কিছু পরীক্ষার পদ্ধতি ও কৌশল শিখে আপনি আদৌ ভালো স্কোর তুলতে পারবেন না। এটা একটা চিরন্তন সত্য!

কী করবো, কী করবো না

আমি মোটেও আইইএলটিএস প্রিপারেশন কোর্স করতে নিরুৎসাহিত করছি না। শুধু পরীক্ষার প্রস্তুতির আগে ভাষার ভিত্তি ঠিক করে নিতে বলছি।

আসুন জেনে নেই ঠিক কিভাবে ভাষার ভিত্তি মজবুত করে ও শতভাগ প্রস্তুতি নিয়ে আইইএলটিএসে বেশ ভালো একটা স্কোর করবেন।

দয়া করে লেখাটি সময় নিয়ে পড়বেন এবং কোথাও কনফিউশন থাকলে নিচের কমেন্ট বক্সে জিজ্ঞেস করবেন। যেহেতু প্রচলিত পদ্ধতির বাইরে পরামর্শ দিয়েছি, কিছু বিষয়ে ভুল বোঝা খুব স্বাভাবিক।

৬ ধাপে সফলাতার পথে

প্রিপারেশন কোর্সের আগে প্রিপেয়ার্ড হতে কী কী করতে হবে এবং প্রিপারেশন পদ্ধতি ঠিক কেমন হওয়া উচিত তা নিয়ে ৬টি ধাপে বিস্তারিত কথা বলবো এই সেকশনে। সেকশনটাকে IELTS-এর চূড়ান্ত গাইড হিসেবেও গ্রহণ করতে পারেন।

ধাপ ১: নিজের অবস্থা জানুন।

প্রথমেই আপনার ল্যাঙ্গুয়েজ লেভেল যাচাই করে নিন। প্রথমে Common European Framework of Reference for Languages সম্পর্কে জানুন এবং তারপর আপনার অবস্থান নির্ণয় করুন।

ধাপ ২: ভিত্তি মজবুত করুন।

এই ধাপটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এই ধাপের জার্নি সবার জন্য সমান হবে না। এজন্য আমরা এটাকে অবস্থান অনুযায়ী তিন ভাগে ভাগ করছি। আপনার জন্য যেটা উপযুক্ত হয় সেটা অনুসরণ করুন।

এক. তুলনামূলক বেশি দুর্বল হলে…

১. যদি আপনার অবস্থান A1 থেকে A2 এর মধ্যে হয়, Active English Book Series by D. H. Howe দিয়ে শুরু করুন। পুরো সিরিজটা মোটামুটি ভালোভাবে (একাকি বা কারো সাথে) প্রাকটিস করে শেষ করলে বর্তমান অবস্থার দ্বিগুণ পর্যায়ে পৌঁছাবেন বলে আশা করছি।

২. এরপর প্রাথমিক গ্রামারের ভিত্তি মজবুত করতে Basic Grammar in Use বইটি পড়ুন। একাকি পড়তে গিয়ে আটকে গেলে আমাদের Essential English Grammar রেকর্ডিড ভিডিও কোর্সটি করতে পারেন।

৩. সর্বশেষে হাজার পাঁচেক ভোকাবুলারি ঝালাই করে নেবার পালা। এজন্য English Vocabulary in Use: ElementaryEnglish Vocabulary in Use: Pre-intermediate and Intermediate বই দু’টি পড়ুন। একাকি পড়তে গিয়ে আটকে গেলে আমাদের Essential English VocabularyPre-Intermediate and Intermediate English Vocabulary রেকর্ডিড ভিডিও কোর্স দু’টি করতে পারেন।

৪. এসব শেষ হলে রিডিং প্রাকটিস শুরু করুন। প্রাথমিক লেভেলের ভাষায় লেখা হয়েছে এমন অন্তত ৩টি ফিকশন ও ৩টি নন-ফিকশন বই প্রতিটি লাইন বুঝে বুঝে দু’বার করে পড়ুন। লাগাতার ৩ মাস ইংরেজি পত্রিকা পড়ুন। অবশ্যই কাগুজে বই ও পত্রিকা পড়বেন। পিডিএফ ও অনলাইন নিউজপোর্টাল থেকে পড়লে অন্তত ৫০% পিছিয়ে থাকবেন। সবশেষে সাইফুর্সের হাতে-কলমে Reading ‍Skills বইটি সময় নিয়ে বুঝে বুঝে পড়ুন।

নোট: যদি রিডিং শুরু করতে গিয়ে স্ট্রাগল করেন, Reading for Pleasure সিরিজটা রিডিং শুরু করতে ও পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে অনেকটাই সাহায্য করবে।

দুই. মোটামুটি ভালো অবস্থানে হলে…

১. যদি আপনার বর্তমান অবস্থান B1 এর আশপাশে (শুরুতে) হয়, আপনার গ্রামার দক্ষতাকে উচ্চতর পর্যায়ে (B2+) নিয়ে যেতে English Grammar in Use বইটি পড়ুন। একাকি পড়তে গিয়ে আটকে গেলে আমাদের Intermediate English Grammar রেকর্ডিড ভিডিও কোর্সটি করতে পারেন।

২. নতুনকরে আরো হাজার তিনেক B2 লেভেলের শব্দ শিখতে English Vocabulary in Use: Upper-Intermediate বইটি পড়ুন। একাকি পড়তে গিয়ে আটকে গেলে আমাদের Upper-Intermediate English Vocabulary রেকর্ডিড ভিডিও কোর্সটি করতে পারেন।

৩. এসব শেষ হলে অ্যাডভন্সড রিডিং প্রাকটিস শুরু করুন। এবার একটু কঠিন ভাষার অন্তত ৩টি ফিকশন ও ৩টি নন-ফিকশন বই প্রতিটি লাইন বুঝে বুঝে দু’বার করে পড়ুন। লাগাতার আরো ৩ মাস ইংরেজি পত্রিকা পড়ুন। এখন শুধু নিউজ নয়, ফিচার ও সম্পাদকীয়ও পড়ুন। বিজনেস ও ডাটা নির্ভর রিপোর্টগুলো ‍বুঝে বুঝে পড়ুন। প্রয়োজনে নোট করুন। আবারও বলছি, অবশ্যই কাগুজে বই ও পত্রিকা পড়বেন। পিডিএফ ও অনলাইন নিউজপোর্টাল থেকে পড়লে অনেক পিছিয়ে থাকবেন।

তিন. বেশ ভালো অবস্থানে হলে…

১. যদি আপনার বর্তমান অবস্থান B2 হয়, আরেকটু সময় গ্রামার স্টাডিতে দিয়ে C1/C2 লেভেলে পৌঁছে যান। এজন্য Advanced Grammar in Use পড়তে পারেন।

২. তারপর অ্যাডভান্সড (মানে C1-C2 লেভেলের) আরো তিন হাজারের বেশি শব্দের ব্যবাহার শিখতে English Vocabulary in Use: Advanced বইটি পড়তে পারেন। একাকি পড়তে গিয়ে আটকে গেলে আমাদের Advanced English Vocabulary রেকর্ডিড ভিডিও কোর্সটি করতে পারেন।

৩. রিসার্চ বেইজড লেখা পড়ার অভ্যাস করে তুলুন। ডাটা ও স্ট্যাটিসটিকস ব্যবহার করেছে এমন লেখা বেশি পড়ুন।

ধাপ ৩: ব্যবহার করুন, ব্যবহার শিখুন।

শুধু Range থাকলেই হয় না Accuracy-ও থাকতে হয়। আর সেটা তখনই অর্জন করতে পারবেন যখন আপনি যে গ্রামার ও ভোকাবুলারি শিখেছেন তা সর্বোচ্চ শুদ্ধভাবে ব্যবহার করতে পারবেন। দ্বিতীয় ধাপে আমরা যা যা করেছি তাতে আমাদের রিডিং প্রাকটিস কাভার হলেও রাইটিং, লিসনিং ও স্পিকিং কিন্তু কাভার হয় নি। আসুন এবার এই তিনটি কিভাবে মাস্টার করা যায় জানি।

এক. লিসনিং ঠিক করতে: 

ছয় মাসের জন্য অডিও নিউজ থেকে নিয়ে বিনোদনমূলক ভিডিও সব ইংরেজিতে শুনতে ও দেখতে হবে। যখন মোটামুটি সব বুঝতে পারবেন ইমিটেশন প্রাকটিস করতে হবে। অনেকে এটাকে শ্যাডোয়িংও বলে থাকেন।

প্রথমেই জটিল কিছু দিয়ে শুরু করতে যাবেন না। প্রয়োজনে শিশুদের কার্টুন দিয়ে শুরু করুন।

ইমিটেশন কয়েকভাবে হতে পারে:

প্রথমে হুবহু বলা,

এরপর ফার্স্ট পার্সন সাবজেক্ট দিয়ে বলা,

তারপর রিপোর্টিড স্পিচে বলা,

সর্বশেষে পুরোটা একসাথে নিজের মতো করে বলা।

দুই. রাইটিংয়ে দক্ষ হতে: 

ছোট ছোট লেখা দিয়ে শুরু করুন। যেমন, একটা ৫০০-৭০০ শব্দের নিউজ পড়ার পর বিষয়টি নিয়ে ৫০ শব্দে কী জানলেন তা লেখার চেষ্টা করুন।

কোথাও বেড়াতে গিয়ে কী দেখলেন, কারো সাথে কথা বলে কী জানলেন, কার কী হলো না-হলো, মাথায় ভুতুড়ে কী কী চিন্তা এলো, ইত্যাদি ইত্যাদি― লিখে ফেলার চেষ্টা করুন।

এমনকি কাজের রুটিন কিংবা বাজারের লিস্টটাও ইংরেজিতে লিখুন।

তিন. স্পিকিংয়ে পটু হতে: 

আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে এটা সবচেয়ে জটিল। কারণ আমরা স্পিকিং পার্টনার খুঁজে পাই না।

অথচ আমরা বাসায় ইংরেজি বলা শুরু করলে ফ্যামিলির সবাই উপকৃত হতেন। এখন অনেকেই এমনটা করছেন। পরিচিত কারো কারো বাসায় দেখেছি একেবারে ছোট বাচ্চাটাও ইংরেজি বলছে, কারণ তার মা-বাবা বাসায় ইংরেজি বলেন।

আপনি যদি বাসায় এমনটা করতে নাও পারেন, অন্তত বন্ধুমহলে চর্চাটা শুরু করুন। যদি সেটাও সম্ভব না হয়, এমন একজনকে খুঁজে নিন যিনি আপনার মত IELTS দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। অফলাইনের কেউ হলে ভালো, নয়ত অনলাইনে খুঁজুন। কারণ কথা বলা শিখতে হবে কথা বলে বলেই।

পাশাপাশি উপরে লিসনিং অংশে যে ইমিটেশন বা শ্যাডোয়িংয়ের পদ্ধতি বলা হয়েছে তা স্পিকিং প্রাকটিসের জন্য সবচেয়ে বেশি উপকারি। এই ব্যাপারে আমার ইউটিউব চ্যানেলে একটি ভিডিও আছে। দেখতে পারেন। সামনে বিশেষভাবে IELTS এর উপর অনেকগুলো ভিডিও দেবার পরিকল্পনা আছে। চ্যানেলটিতে সাবস্ক্রাইব করে রাখুন যাতে আগামী ভিডিওগুলো মিস না করেন।

ধাপ ৪: এবার পরীক্ষার প্রস্তুতি নিন।

এক. ইংরেজির কমন ভুলগুলো থেকে বাঁচতে

Common Mistakes In English by T. J. Fitikides বইটি সত্যিই অসাধারণ। ৬০০টি ইংরেজির ভুল ব্যবহার ও তার শুদ্ধ ভার্সন ব্যাখ্যা সমেত তুলে ধরেছেন বইটিতে। দয়া করে বাংলা অনুবাদ ভার্সন ও একই নামে বাংলাদেশি লেখকদের নকল বই এড়িয়ে বইটির ইংরেজি ভার্সন সংগ্রহ করবেন। ভুয়া ও বাংলা অনুবাদ বইগুলোতে অনেক ভুল আছে। তাছাড়া এ ধরণের বইয়ের অনুবাদ পড়া আর আত্মহনন করা সমান কথা।

দুই. আইইএলটিএসের কমন ভুলগুলো থেকে বাঁচতে

Common Mistakes at IELTS Intermediate: And How to Avoid Them by Pauline Cullen ও Common Mistakes at IELTS Advanced: And How to Avoid Them by Julie Moore বই দু’টি ভালোভাবে সময় নিয়ে বুঝে বুঝে পড়ুন।

তিন. আইইএলটিএস প্রস্তুতির জন্য বেস্ট সিরিজ

Collins English for IELTS সিরিজের পাঁচটি বই দেখে নিন। যেহেতু আমরা আগের দু’টি ধাপে ভাষা দক্ষতা অর্জন করে এসেছি এই সিরিজটাতে বেশি সময় লাগার কথা নয়। অনেকেই হয়তো এক সপ্তাহে শেষ করে ফেলবেন।

চার. এবার পাস্ট পেপারস দেখার পালা

এখন বাজারে ১৯ নম্বর পাওয়া যাচ্ছে। আপনি চাইলে ০১ থেকে ১৯ প্রাকটিস পারেন। আবার চাইলে শুধু শেষের ৪/৫টা পারেন। এটা আপনার চাহিদা ও প্রয়োজনীয়তার উপর। মক টেস্ট দেবার আগে যত বেশি দেখতে পারবেন তত বেটার। যদি দেখেন মক টেস্টে আশানুরূপ রেজাল্ট আসে নি এবং মনে হচ্ছে যে আরো কয়েকটি প্রাকটিস করলে ভালো বুঝবেন এবং স্কোর বাড়বে, তাহলে আরেকটু সময় দিন।

পাঁচ. প্রিপারেশন কোর্স করুন

এই পর্যায়ে এসে যদি আপনার মনে হয় এখনো প্রিপারেশন কোর্স করার প্রয়োজনীয়তা আছে, তাহলে যে কোন ভালো প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়ে যান। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি একটা কোর্স করা বেটার হবে। কারণ পরীক্ষায় ভালো স্কোর করার জন্য ভাষা দক্ষতার বাইরেও কিছু বিষয় থাকে যা একজন দক্ষ শিক্ষকের কাছ থেকে শিখতে হয়।

এক্ষেত্রে সিলেটে কেউ কোর্স করতে চাইলে আমার সম্মানিত শিক্ষক আইইএলটিএস সেন্টার-এর রফিক স্যারের কাছে কোর্স করতে পরামর্শ দেব। তার মত শিক্ষক খুব কমই আছেন।

ছয়.  অফিশল ও আন-অফিশল রিসোর্সগুলো থেকে উপকৃত হোন

অনলাইন ভিডিও ও টেক্সট-বেইজড রিসোর্সগুলো থেকে উপকৃত হওয়া উচিত। যদি সময়-সুযোগ হয়, পরে আলাদা একটি পোস্টে বেস্ট কিছু ওয়েবসাইট ও ইউটিউব চ্যানেল নিয়ে লিখব। পাশাপাশি কোনটি কোন কাজে কিভাবে ব্যবহার করবেন তাও ব্যাখ্যা করবো ইনশাআল্লাহ।

ধাপ ৫: অনেকগুলো মক টেস্ট দিন।

অনেকেই মক টেস্ট দেয়াকে তেমন একটা গুরুত্ব দেন না। আদতে এটা স্কোর বাড়াতে অনেক হেল্প করে। কমপক্ষে ৫/৬টি মক টেস্ট দেয়া উচিত। তবে এক্ষত্রে আমার বিশেষ একটি পরামর্শ আছে। অন্তত তিন জায়গায় টেস্ট দেয়ার চেষ্টা করুন। যদি ছয়টি টেস্ট দেন, তাহলে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে দু’টি করে দিন; নয়টি হলে, তিনটি করে। এতে একদিকে যেমন পরীক্ষাভীতি কমবে অপরদিকে আপনার আত্মবিশ্বাস অনিকাংশে বেড়ে যাবে যা আল্টিমেটলি আপনাকে ভালো স্কোর করার পথে অন্যদের থেকে অনেক এগিয়ে রাখবে।

ধাপ ৬: পরীক্ষা দিন।

কেউ কেউ সব প্রস্তুতি নিয়ে বসে থাকেন। এক্ষেত্রে “সব ভুলে গেছি” সমস্যাটা হয়। গুরুজনেরা বলেন, রুটি যা ভাজার তাওয়া গরম থাকতে থাকতে ভেজে ফেলা উচিত। প্রস্তুতি শেষে যত জলদি সম্ভব পরীক্ষাটা দিয়ে দিন। অন্যথায় গাড়ি ক্রমশ দ্রুততার সাথে পিছনের দিকে চলতে থাকবে!

মাঝ দরিয়ায় নাও ভাসিয়ে এবার কোন পথে?

লিখতে বসেছিলাম The Ultimate Guide to IELTS শিরোনাম নিয়ে। কিন্তু লেখাটা অন্য পথ ধরেছে। আপনার আইইএলটিএস জার্নিতে (IELTS Journey) এটা কতটা অবদান রাখবে নিশ্চিত নই।

অবসরে লেখাটিতে সংযোজন, বিয়োজন ও সংশোধন চলমান থাকবে ইনশাআল্লাহ। পাশাপাশি অতিরিক্ত যে বিষয়গুলো নিয়ে আলাদাভাবে লেখার কথা বলেছি সেগুলো নিয়েও লিখবো ইনশাআল্লাহ।

লেখাটি পড়ার পর আপনার কোনো প্রশ্ন, পরামর্শ বা আপত্তি থাকলে এখনই নিচের কমেন্ট বক্সে লিখে ফেলুন। তৎক্ষণাৎ সম্ভব না হলেও ৪৮ ঘন্টার মধ্যে সাড়া দেবো ইনশাআল্লাহ।

উপকৃত হলে লেখাটি অন্যদের সাথেও শেয়ার করতে পারেন।

Leave a Comment